Wednesday, August 11, 2021

অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ

অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ চলতি বছরের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে বৃত্তিটির জন্য শিক্ষার্থীদেরকে মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শর্ত পূরণ করতে হবে। আবেদন যেভাবে: আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে ক্লিক করুন এখানে। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে আবেদন করতে হবে। সুযোগ সুবিধাসমূহ: * টিউশন ফি এর সম্পূর্ণ খরচ। * তারা একক স্বাস্থ্য বিদেশী শিক্ষার্থী স্বাস্থ্য কভার (ওএসএইচসি) কভার করে। আবেদনের যোগ্যতা: * আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হতে হবে। * মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। * মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে। বিশ্বের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কবে স্কলারশিপ, যেভাবে আবেদন করবেন বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অন্তরায় বিশ্বের নামকরা গবেষণাগার সম্পর্কে তথ্য না থাকা। পাশাপাশি বিশ্বের সব নামকরা স্কলারশিপ সম্পর্কে জ্ঞান না থাকা। এ কারণে আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের অনেক সুন্দর সম্ভাবনাকে নষ্ট করছি এবং গলা টিপে হত্যা করছি। দেশে বিষয়ভিত্তিক চাকরির সংখ্যা অনেক কম থাকায়, আমরা অনেকেই আমাদের ভালবাসার বা ভালোলাগার বিষয়ভিত্তিক পড়াশুনা বাদ দিয়ে শুধু চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য নিজের বিজ্ঞানী বা গবেষক হওয়ার স্বপ্নকে বিসর্জন দিচ্ছি। আমরা যারা নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছি, তাদের সকলেরই এক ধরনের সমস্যা, আর সেটা হলো পড়াশুনা শেষ করার সাথে সাথে চাকরি খুঁজতে হয় বা চাকুরীর পড়াশুনা করতে হয়। হয়তো তাদের মধ্যে অনেকেরই স্বপ্ন থাকে বিজ্ঞানী বা গবেষক হওয়ার। স্বপ্ন বিসর্জন না দিয়ে, আমরা যদি নিজেদেরকে বিশ্বের তাল মিলিয়ে যোগ্য করে গড়ে তুলি তাহলে বিশ্বের যেকোন দেশেই আমাদের কাজের বা চাকরির অভাব হবে না। এরজন্য দরকার বিশ্বের সব নামকরা ল্যাব সম্পর্কে জানা ও এর গবেষণা সম্পর্কে জ্ঞান রাখা এবং পাশাপাশি বিশ্বের নামকরা স্কলারশিপ সম্পর্কে সঠিক তথ্য রাখা। আমদের মধ্যে NASA, CERN, FERMILAB, INFN, LIGO-তে কাজ করার আগ্রহ থাকতে হবে এবং এগুলোতে কাজ করার যোগ্যতা ও আবেদনের পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। আপনারা যারা এই বিষয়ে জ্ঞান রাখেন তারা নিশ্চয় জানেন, বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য যে পরমাণ টাকা দেয়া হয় তা দিয়ে নিজের ও নিজের পরিবার খরচ ভালোভাবে চালানোর পরও অনেক টাকা সঞ্চিত থাকে। সবচেয়ে বড় কথা নিজের স্বপ্নটাকে বাঁচিয়ে রাখা যায়, পাশাপাশি বিশ্বের নামকরা বিজ্ঞানী ও গবেষকের অনেক কাছাকাছি যাওয়া যায় এবং অনেক কিছু শেখা যায়। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার স্কলারশিপ, অনুদান এবং আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য না থাকা বা ভুল তথ্য থাকা, এই সকল স্বপ্নের অপমৃত্যুর অন্যতম কারণ। সুতরাং ছাত্রজীবনে আমাদের সঠিক মেন্টর বা কোচ খুঁজে বের করতে হবে, যারা আমাদেরকে সঠিক তথ্য দিয়ে ঠিক পথে থাকতে অনুপ্রাণিত করবে বা সাহায্য করবে। আমরা যারা এখন অনার্স ও মাস্টার্সে অধ্যায়নরত তাদের এই বিষয়গুলা নিয়ে ভাবা উচিৎ। পাশাপাশি আমাদেরকে বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের summer school এবং internship সম্পর্কে খোঁজ রাখতে হবে। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় ভালো সুপারভাইজার বা ল্যাব পেতে এই summer school বা internship অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে। নিম্নে বিশ্বের নাম করা কিছু স্কলারশিপের নাম, ওয়েবসাইট এবং আবেদন পত্র করার সময় দেওয়া হলো। আশাকরি আপনাদের উপকারে আসবে। (স্কলারশিপ সম্পর্কে এই ভিডিওগুলো দেখতে পারেন- ১। https://fb.watch/7cyBZD-GBL/, ২।https://fb.watch/7cyWQxqNeI/) Japan (জাপান) MEXT (মনবুকাগাকুশো) স্কলারশিপের জন্য সাধারণত দুইভাবে আবেদন করতে হয়। ১। প্রথম পদ্ধতি হলো: MEXT (মনবুকাগাকুশো)- University Recommendation এবং ২। দ্বিতীয় পদ্ধতি হলো: MEXT (মনবুকাগাকুশো) Embassy Recommendation ১। MEXT (মনবুকাগাকুশো)- University Recommendation আবেদনপত্র গ্রহণের সময় প্রতি বছর নভেম্বর থেকে জানুয়ারী। এই স্কলারশিপের জন্য জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরকে লিখতে হবে। Google-এ জাপানিজ ইউনিভার্সিটি (Japanese University) লিখে সার্চ দিলে অনেক ইউনিভার্সিটির লিস্ট চলে আসবে। সেখানে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পছন্দের বিষয়ের প্রফেসরদেরকে খুঁজে বের করতে হবে এবং তারপর প্রফেসরদের নিজের CV এবং গবেষণা কর্মের লিস্ট বা Publications list সংযুক্ত করে ইমেইল পাঠাতে হবে। (https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_universities_in_Japan) ২। MEXT (মনবুকাগাকুশো) Embassy Recommendation দরখাস্তের সময় প্রতি বছর মার্চ-মে। এই স্কলারশিপের জন্য বাংলাদেশে অবস্থিত জাপানে এম্বাসির মাধ্যমে দরখাস্ত করতে হয়। বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও এর সার্কুলার হয়। (http://www.moedu.gov.bd/) South Korea (দক্ষিণ কোরিয়া) Korean Govt. Scholarship (কোরিয়ান গভঃ স্কলারশিপ) দরখাস্তের সময়ঃ প্রতি বছর সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও এর সার্কুলার হয়। (http://www.moedu.gov.bd/) China (চীন) Chinese Govt. Scholarship (চাইনিজ গভঃ স্কলারশিপ) দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর সেপ্টেম্বর। (http://www.csc.edu.cn/studyinchina/scholarshiplisten.aspx…). The World Academy of Sciences দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর আগস্ট (http://twas.org/) UK (ইঊকে) Commonwealth Scholarship (কমনওয়েলথ স্কলারশিপ) দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর। বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইটে এর সার্কুলার হয় ( http://www.moedu.gov.bd/). University Grant Commission(UGC) এই স্কলারশিপের সিলেকশন দেয়। Germany (জার্মানি) DAAD স্কলারশিপ দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর। বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে এর সার্কুলার হয় ( http://www.moedu.gov.bd/)। বাংলাদেশে স্কলার এবং জার্মান এম্বাসি এর স্টাফদের নিয়ে একটা সিলেকশন কিমিটি গঠিত হয়, তাঁরাই ইন্টার্ভিউ নিয়ে সিলেকশন দেয়। তার আগে অবশ্যই জার্মানের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর দের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। Belgium (বেলজিয়াম) VLIR-OUS স্কলারশিপ দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই স্কলারশিপ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। (http://www.vliruos.be/) Netherlands (নেদারল্যান্ডস) NFP স্কলারশিপ Nuffic স্কলারশিপ দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী। এই স্ক্লারশিপের জন্য আগে ভর্তি হতে হবে অনলাইনে । (https://www.epnuffic.nl/en/) European County (ইউরোপিয়ান কান্ট্রি) ERASMUS MUNDUS স্কলারশিপ দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী। (http://eacea.ec.europa.eu/erasmus_mundus/) Sweden (সুইডেন) Swidish Institute Study Scholarship দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী। (https://studyinsweden.se/scholarship/) Norway (নরওয়ে) Qouta scholarship দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর। (http://siu.no/…/Programme-…/Scholarship-schemes/Quota-Scheme) Australia (অস্ট্রেলিয়া) IPRS দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর দুইবার – জুন-জুলাই এবং আগস্ট-সেপ্টেম্বর। প্রতি টা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য IPRS আলাদা আলাদা। প্রতি টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট দেখতে হবে। Endevour দরখাস্তের সময়- দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর এপ্রিল থেকে জুন।(https://internationaleducation.gov.au/…/…/Pages/default.aspx) Australian Awards Scholarships (Australia) (https://www.dfat.gov.au/people-to-people/australia-awards) Canada (কানাডা) প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় এর নিজস্ব কিছু স্কলারশিপ আছে। বিশ্ববিদ্যালয় এর ওয়েব সাইটে গিয়ে দরখাস্ত এর নিয়ম জেনে দরখাস্ত করতে হবে। সময় ও দেওয়া আছে। ১। Trudeau Scholarships (Canada). ২। Pierre Elliott Trudeau Foundation Scholarships https://www.trudeaufoundation.ca/scholarship USA (আমেরিকা) ১। Government Masters Scholarships USA. ২। USA Government Scholarships for International Students ৩। Fulbright scholarship দরখাস্তের সময়- প্রতি বছর মে-অক্টোবর।( http://www.cies.org/) INSPIRE HEP: INSPIRE HEP- হলো একটি বিশ্বস্ত কমিউনিটি হাব যা গবেষকদের (HIGH ENERGY PHYSICS) উচ্চ শক্তির পদার্থবিজ্ঞানের Scholarships -এর সঠিক তথ্য শেয়ার করতে এবং খুঁজে পেতে সাহায্য করে। https://inspirehep.net/jobs?sort=mostrecent&size=25&page=1&q= সরকারি অর্থায়িত কিছু আন্তর্জাতিক বৃত্তির তথ্য নিম্নে দেওয়া হলো: 1. Chevening Scholarships (UK). 2. Endeavour Postgraduate Awards (Australia). 3. Australian Awards Scholarships (Australia) 4. Eiffel Excellence Scholarship Programme (France). 5. Swiss Government Excellence Scholarships (Switzerland). 6. DAAD Scholarships for Development Related Postgraduate Courses (Germany). 7. Netherlands Fellowship Program (Netherlands). 8. Swedish Institute Study Scholarships (Sweden). 9. VLIR-UOS Scholarships (Belgium). 10. Japanese Government (MEXT) scholarships. 11. Japanese Government Scholarships for International Research Students. 12. Government Masters Scholarships USA. 13. USA Government Scholarships for International Stud 14. Italian Government Scholarships. 15. Adelaide Scholarships International (ASI). 16. International Baccalaureate (IB) Scholarship for South Asian Students in Australia, 2018 17. Joint TICA–TRF–Sida–ISP Scholarship for Doctoral Studies in Thailand and Sweden, 2018 18. Indian Sub-Continent Regional Scholarships at University of Essex in UK, 2018 19. Ministry of Foreign Affairs of Denmark Research Grants, 2018 20. ICCR Indian High Commission Bangladesh Scholarship Scheme in India, 2018. আন্তর্জাতিক সংস্থার দ্বারা প্রদানকৃত কিছু আন্তর্জাতিক বৃত্তির তথ্য নিম্নে দেওয়া হলো: 1. Erasmus Mundus Scholarships. 2. Commonwealth Scholarships for Commonwealth Countries. 3. UNESCO Fellowships Programmes. 4. ADB-Japan Scholarship Program for Developing Countries in Asia and Pacific. 5. Ting Hsin Scholarship at Waseda University. 6. Organization Master scholarships in USA বিশ্ববিদ্যালয়-অর্থায়িত কিছু আন্তর্জাতিক বৃত্তির তথ্য নিম্নে দেওয়া হলো: 1. Gates Cambridge Scholarships (UK). 2. Clarendon Scholarships at University of Oxford (UK). 3. Schwarzman Scholars Program at Tsinghua University (China). 4. University of Westminster Scholarships for Developing Countries (UK) 5. Developing Solutions Scholarships at University of Nottingham (UK). ইনস্টিটিউট-অর্থায়িত কিছু আন্তর্জাতিক বৃত্তির তথ্য নিম্নে দেওয়া হলো: 1. Rotary Foundation Global Study Grants (Various Countries). 2. Trudeau Scholarships (Canada). 3. Joint Japan World Bank Scholarships (specified countries). 4. OFID Scholarships (any approved country). 5. Aga Khan Foundation Scholarships (any approved country গ্লোবাল প্রতিষ্ঠানের দ্বারা প্রদানকৃত কিছু আন্তর্জাতিক বৃত্তির তথ্য নিম্নে দেওয়া হলো: 1. Joint Japan World Bank Scholarships. 2. ADB Japan Scholarship Program. 3. MasterCard Foundation Scholars Program for Africa. 4. OFID Scholarship Award. আন্তর্জাতিক ফাউন্ডেশন দ্বারা প্রদানকৃত কিছু আন্তর্জাতিক বৃত্তির তথ্য নিম্নে দেওয়া হলো: 1. Rotary Foundation Global Study Grants. 2. Aga Khan Foundation International Scholarship Program. 3. Heinrich Boll Foundation Scholarships. 4. Wells Mountain Foundation Scholarships for Developing Countries. 5. PEO International Peace Scholarships. দুটি ভিন্ন উপায়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি বা অধ্যাপকের তহবিলের জন্য আবেদন করতে পারি। ১. With IELTS, GRE, TOEFL, Special GRE etc. ২. Without any Test (Just by convincing the professors using your CV and publications list.) এখানে অল্পকিছু Scholarship-এর সম্পর্কে জানানো হলো। এর বাহিরেও আরো অনেক Scholarship আছে। আশাকরি উপরে উল্লেখিত Scholarship সম্পর্কে লেখাটা আপনাদের অনেক সহযোগিতা করবে। সব সময় পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ। সকলের মঙ্গল কামনা করছি। লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

কবে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা

২০২০ সালে যারা উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারা এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন। ২০১৯ সালে পাস করেও যারা ভর্তি হতে পারেননি তাদের জন্যও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যলয়ে রয়েছে ভর্তি হওয়ার সুযোগ। প্রতিবারের মতো এবারও মূল লড়াইটা হবে ৩৯টি স্বায়ত্তশাসিত ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধ লক্ষেরও বেশি আসনে। সারাদেশে চার মাসের বেশি সময়ের পর বিধিনিষেধের অবসান হচ্ছে আজ বুধবার। এ দিন থেকে আবারও সচল হচ্ছে দেশ। তবে গোটা দেশ সচল হলেও বন্ধ থাকছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে কয়েক লাখ ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীর। চলতি মাস থেকেই শুরু হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া সাপেক্ষে স্থগিত থাকা ভর্তি পরীক্ষাগুলো আয়োজন করা হবে। সেক্ষেত্রে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে পুরোদমে শুরু হবে ভর্তি পরীক্ষা। ইতোমধ্যে চলতি মাসেই আর্মড ফোর্সেস ও আর্মি মেডিকেল এবং বিইউপির ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর নেওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। তাছাড়া সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে ভর্তি পরীক্ষার নতুন দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে। তবে বুয়েট, প্রকৌশল গুচ্ছের তিন বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশকয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত রেখেছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি উন্নতি এবং বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া সাপেক্ষে ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে। তথ্যমতে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় বিভিন্ন স্বায়ত্ত্বশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়নি। পেছাতে হয়েছে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার দিনক্ষণ। সাধারণত বছরের সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হলেও করোনার কারণে গত বছর ভর্তি পরীক্ষা হয়নি। চলতি বছরের জুলাইয়ে এসেও তাদের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। অন্যান্য বছরে জানুয়ারির প্রথম দিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়ে থাকে। গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হলেও করোনার প্রাদুর্ভাবে সেটা নিতে পারেনি। এরপর মেডিকেল কলেজ ছাড়া কোথাও কোন ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা যায়নি। জানা যায়, ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের মূল্যায়নে সারাদেশে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ‘অটো পাস’ করে। এছাড়া ২০১৯ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন পাস করে। এই সব শিক্ষার্থীদের ৪/৫ লাখই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। বর্তমানে দেশে ৪৬টি স্বায়ত্তশাসিত ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক কার্যক্রম চালু রয়েছে। তবে প্রতিবারের মতো এবারও মূল লড়াইটা হবে ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধ লক্ষেরও বেশি আসনে। এদিকে, গত রবিবার দেশের চলমান বিধিনিষেধ শিথিল করার ঘোষণা আসার পরপরই আগের দেওয়া ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করে নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ ও ৫টি আর্মি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৪ আগস্ট পরীক্ষার নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিইউপির স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী আগামী ২০ আগস্ট ও ২১ আগস্ট ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সরকারি-বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২২ জুন অনির্দিষ্টকালের জন্য বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেদিন এক বিজ্ঞপ্তিতে বুয়েট জানিয়েছিল, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসলে প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার কমপক্ষে ১০ দিন আগে পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে। সম্প্রতি বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কঠোর লকডাউন থাকায় আমাদের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন আছে৷ এরপর যদি সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায় এবং মানুষের চলাচলে কোনো বাধা না থাকে তাহলে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নেব। তিনি আরও বলেন, খুব বেশিদিন আমাদের ভর্তি স্থগিত রাখার সুযোগ নেই। ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আশা করছি ১১ আগস্টের মধ্যেই ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দিতে পারবো। চলতি মাসে মাঝামাঝি সময়ে ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক সিলেকশনের ফল প্রকাশ করা হতে পারে। সম্প্রতি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত টেকনিক্যাল সাব কমিটির আহবায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে হয়তো সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু করতে পারবো। আমরা এই সময়েকে তার্গেট করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ১২ আগস্ট তিন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট, রুয়েট ও কুয়েট) ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। তবে এর আগে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধ থাকায় সম্প্রতি সেটি স্থগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সেখ বলেছিলেন, করোনা পরিস্থিতি উন্নতি এবং বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হলে আলোচনা করে ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে। ১ অক্টোবর থেকে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ অক্টোবর বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারের ভর্তি পরীক্ষা। এরপর ২ অক্টোবর কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিট, ৯ অক্টোবর চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিট (বহুনির্বাচনী), ২২ অক্টোবর ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিট ও ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা। ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে৭টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আরেক দফায় পেছানো হয়েছে। আগামী ২৭ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পুন:নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে ২৪ অক্টোবর থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে। দুই মাস পেছালো ডুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ভর্তি পরীক্ষা দুই মাস পেছানো হয়েছে। গত ১১ ও ১২ জুলাই ডুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়নি। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর ডুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দুই মাস পেছাল চবি ভর্তি পরীক্ষাও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আরও দুইমাস পেছানো হয়েছে। আগামী ২০-২৭ আগস্ট পর্যন্ত চারটি ইউনিট ও দুইটি উপ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও নতুন তারিখ অনুযায়ী পরীক্ষাগুলো হবে ২৭ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত। অনির্দিষ্টকালের জন্য যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত আরেক দফায় পিছিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। আগামী ১৬, ১৭ ও ১৮ আগস্ট এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় সেটি স্থগিত করা হয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরবর্তীতে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে, যা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। গত ৭ আগস্ট আকাশ বিজ্ঞান প্রকৌশল সম্পর্কিত বাংলাদেশের প্রথম উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমআরএএইউ) ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ভর্তি পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।ফলে আগামী ২০ আগস্ট ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না। গত ৫ আগস্ট বুটেক্সের একাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাও যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়নি। গত ৪ ও ৫ জুন দেশের ৪ বিভাগে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর ও খুলনা) এ ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। জাবি ভর্তি পরীক্ষার আবেদন চলছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদন চলছে। অনলাইনে আবেদনের পূর্ব নির্ধারিত সর্বশেষ সময়মীমা ৩১ জুলাইয়ের পরিবর্তে আগামী ১৪ আগস্ট রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি ঘোষণা করা হয়নি।

আজ থেকে শিথিল হচ্ছে কঠোর লকডাউন

দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আজ বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে শিথিল করছে সরকার। ফলে আজ থেকে সব সরকারি-বেসরকরি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে। চলবে সকল ধরনের গণপরিবহন। এ ব্যাপারে সরকার গত রবিবার মন্ত্রপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আজ থেকে সব সরকারি-বেসরকরি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত ৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিচের শর্তাবলী সংযুক্ত করে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ১. সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা থাকবে। ২. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে। ৩. সড়ক রেল ও নৌ-পথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন/যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দফতর/সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে। ৪. শপিং মল/মার্কেট/দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা রাখা যাবে। ৫. সব ধরনের শিল্প-কারখানা চালু থাকবে। ৬. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ৭. সবক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। ৮. গণপরিবহন, বিভিন্ন দফতর, মার্কেট ও বাজারসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আজ বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে শিথিল করছে সরকার। ফলে আজ থেকে সব সরকারি-বেসরকরি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে। চলবে সকল ধরনের গণপরিবহন। এ ব্যাপারে সরকার গত রবিবার মন্ত্রপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আজ থেকে সব সরকারি-বেসরকরি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত ৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিচের শর্তাবলী সংযুক্ত করে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ১. সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা থাকবে। ২. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে। ৩. সড়ক রেল ও নৌ-পথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন/যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দফতর/সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে। ৪. শপিং মল/মার্কেট/দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা রাখা যাবে। ৫. সব ধরনের শিল্প-কারখানা চালু থাকবে। ৬. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ৭. সবক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। ৮. গণপরিবহন, বিভিন্ন দফতর, মার্কেট ও বাজারসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আজ বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে শিথিল করছে সরকার। ফলে আজ থেকে সব সরকারি-বেসরকরি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে। চলবে সকল ধরনের গণপরিবহন। এ ব্যাপারে সরকার গত রবিবার মন্ত্রপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আজ থেকে সব সরকারি-বেসরকরি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত ৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিচের শর্তাবলী সংযুক্ত করে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ১. সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা থাকবে। ২. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে। ৩. সড়ক রেল ও নৌ-পথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন/যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দফতর/সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে। ৪. শপিং মল/মার্কেট/দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা রাখা যাবে। ৫. সব ধরনের শিল্প-কারখানা চালু থাকবে। ৬. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ৭. সবক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। ৮. গণপরিবহন, বিভিন্ন দফতর, মার্কেট ও বাজারসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আজ বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে শিথিল করছে সরকার। ফলে আজ থেকে সব সরকারি-বেসরকরি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে। চলবে সকল ধরনের গণপরিবহন। এ ব্যাপারে সরকার গত রবিবার মন্ত্রপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আজ থেকে সব সরকারি-বেসরকরি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত ৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিচের শর্তাবলী সংযুক্ত করে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ১. সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা থাকবে। ২. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে। ৩. সড়ক রেল ও নৌ-পথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন/যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দফতর/সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে। ৪. শপিং মল/মার্কেট/দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা রাখা যাবে। ৫. সব ধরনের শিল্প-কারখানা চালু থাকবে। ৬. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ৭. সবক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। ৮. গণপরিবহন, বিভিন্ন দফতর, মার্কেট ও বাজারসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

করোনা টিকার অ্যাপ: সুরক্ষা'য় যেভাবে ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করবেন

full page বাংলাদেশে রবিবার ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সারা দেশে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শুরুতেই সম্মুখ সারির কর্মী এবং ৪০ বছরের বেশি নাগরিকদের টিকা দেয়া হবে। এই বয়স সীমা আগে ৫৫ বছর নির্ধারণ করা হলেও সেটি আবার কমিয়ে আনা হয়েছে। ৪০ বছরের বেশি বয়সীরা যে কোন সরকারি হাসপাতালে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। তবে টিকা নিতে হলে নাম নিবন্ধন করতে হবে সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। এর আগে এ বিষয়ক একটি অ্যাপ চালু হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে সেটি আর কাজ করছে না। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক(এমআইএস) ডা. মিজানুর রহমান বলেন, অ্যাপটি এখনো তাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি বলে কাজ শুরু হয়নি। তবে এটি শিগগিরই চলে আসবে। অ্যাপ না থাকলেও নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে রেজিস্ট্রেশন চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। স্পট রেজিস্ট্রেশন প্রাথমিক পর্যায়ে করোনাভাইরাসের টিকা পেতে নিবন্ধন করা নিয়ে ঝামেলার মুখে পড়ার কথা অনেকে জানানোর পর নিবন্ধনের কাজ সহজ করতে নেয়া পদক্ষেপের অংশ হিসাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর স্পট রেজিস্ট্রেশন বা টিকা কেন্দ্রে গিয়ে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থার কথা জানিয়েছিল। বিবিসি বাংলাও এ বিষয়ে এই প্রতিবেদনে সে খবর দিয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার ১১ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান সরকার 'স্পট রেজিস্ট্রেশন' অর্থাৎ কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে রেজিস্ট্রেশন করে তাৎক্ষণিকভাবে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যবস্থা বন্ধ করে দিচ্ছে। তিনি বলেন এখন থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করা মানুষেরাই কেবল নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশনের জন্য সুরক্ষা.গভ.বিডি https://www.surokkha.gov.bd/ নামের ওয়েবসাইটে টিকা নিতে আগ্রহীদের নাম নিবন্ধন করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন হবে জাতীয় পরিচয় পত্র এবং নাম, ঠিকানা, বয়স, পেশা, শারীরিক পরিস্থিতি, ফোন নাম্বার ইত্যাদি তথ্য। সেখানে প্রথমে নিজের পেশার ধরণ, পেশা বাছাই করার পরে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ দিতে হবে। বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগের প্রোগ্রামাররা এই ডাটাবেজটি তৈরি করেছেন। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ''এটি একটি ওয়েব অ্যাপলিকেশন। দেশের ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারে এটি হোস্ট করা হয়েছে। ফলে যত মানুষ এটায় নিবন্ধন করতে চাইবেন, সেই অনুযায়ী এর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা যাবে।'' তিনি জানিয়েছেন, এর মোবাইল ভার্সনটি প্রস্তুত করে রাখা হবে। যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চাইবে, তখনি তাদের দেয়া হবে।'' বাংলা ও ইংরেজি, উভয় ভাষায় এই ওয়েবসাইটে তথ্য পূরণ করা যাবে। ওয়েব অ্যাপলিকেশনে নিবন্ধন করতে হলে তাদের বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে। কোভিড ১৯ টিকাদান কর্মসূচি ফর্ম নিবন্ধন করার সময় তার নাম, বয়স, পেশা, এনআইডি নম্বর, ঠিকানা (সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভার ওয়ার্ড), যে কেন্দ্রে টিকা নিতে আগ্রহী - সেই কেন্দ্র নির্ধারণ করে দিতে হবে। একজন কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, দেশের জাতীয় তথ্যভাণ্ডারের সঙ্গে এই ওয়েবসাইট যুক্ত থাকবে। ফলে যখন কেউ তার এনআইডির নম্বর প্রবেশ করবেন, সঙ্গে সঙ্গে তার নাম, পরিচয়, বয়স ইত্যাদি ডাটাবেজে চলে আসবে। তবে এজন্য কোন স্ক্যান করা কপি বা ছবি দিতে হবে না। নিবন্ধনের জন্য কোন খরচ বা ফি নেই। একটি এনআইডি নম্বর থেকে একবারই নিবন্ধন করা যাবে। যেকোনো ব্যক্তি তার কম্পিউটার ব্যবহার করে এই নিবন্ধন করতে পারবেন। নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার পর একটি ভ্যাকসিন কার্ড আসবে। সেটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে। টিকা নেয়ার সময় এই কার্ডটি দরকার হবে। মোবাইল নম্বরে যাবে এসএমএস নাম নিবন্ধন করার সময় একটি মোবাইল নম্বর দিতে হবে। নম্বরটি যাচাই করার জন্য একটি ওভার দ্য ফোন বা ওটিপি নম্বর আসবে। সেটা ওয়েবসাইটে দেয়ার পর নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এই মোবাইল নম্বরেই এসএমএস পাঠিয়ে টিকা দেয়ার সময় ও স্থান জানিয়ে দেয়া হবে। সেই নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হয়ে টিকা নিতে হবে। সে সময় নিবন্ধনের কার্ডটি দরকার হবে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি ফোন নম্বর ব্যবহার করে পরিবারের সর্বোচ্চ পাঁচ জন সদস্যের জন্য নিবন্ধন করা যাবে। কীভাবে অগ্রাধিকার তালিকা নির্ধারণ করা হবে? নিবন্ধন করার সময় পেশা নির্বাচনের একটি ঘর আসবে। সেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পেশা নির্বাচন করতে হবে। তবে অ্যাপলিকেশন নির্মাণের সঙ্গে সংযুক্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চিকিৎসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইত্যাদি সম্মুখ সারিতে কর্মরত ব্যক্তিদের তালিকা আলাদাভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেই তালিকায় তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরও থাকছে। সেটাও ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ফলে যখন কেউ নাম নিবন্ধন করবেন, সেই তালিকার সঙ্গে মিলে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে টিকা নেয়ার অগ্রাধিকার তালিকায় চলে আসবেন। পাশাপাশি ওই ব্যক্তির ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, শ্বাসতন্ত্রের রোগ বা হৃদরোগের মতো অন্য কোন শারীরিক জটিলতা আছে কিনা, সেটা জানানোর একটি অপশন আসবে, যেখানে হ্যাঁ অথবা না চিহ্নিত করে দিতে হবে। টিকা নেয়ার সার্টিফিকেট প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলছেন, এই সুরক্ষা অ্যাপলিকেশনের মাধ্যমে প্রত্যেকে টিকা সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পারবেন। সেই সঙ্গে টিকার দু'টি ডোজ নেয়ার পর তিনি টিকা নেয়ার একটি সনদ এই ওয়েবসাইট থেকেই ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, অনলাইনে এভাবে নিবন্ধন করার মাধ্যমে বাংলাদেশে কতোজন মানুষ টিকা পেয়েছেন, কোন শ্রেণী-পেশার মানুষ পাচ্ছেন, সকল তথ্য পাওয়া যাবে। প্রথমে যারা টিকা পাবেন টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ে ১৭ ক্যাটেগরির নাগরিকদের নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথমে তাদের টিকা নেয়ার পরে অন্যরা টিকা নেয়ার সুযোগ পাবেন। এই ১৭ ক্যাটেগরির মধ্যে রয়েছে: সরকারি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মী, বেসরকারি ও প্রাইভেট স্বাস্থ্যকর্মী, প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত সকল সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা, সম্মুখসারির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য, রাষ্ট্র পরিচালনায় অপরিহার্য কর্মকর্তা, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী, সকল ধর্মের ধর্মীয় প্রতিনিধি, মৃতদেহ দাফন বা সৎকারকাজে নিয়োজিত ব্যক্তি, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও ফায়ার সার্ভিসের মতো জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি, নৌ-রেল-বিমানবন্দরে কর্মরত ব্যক্তি, ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, জেলা-উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত সরকারি কার্যালয়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রবাসী অদক্ষ শ্রমিক ।

কোভিড: বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আবারও একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ছুঁয়েছে, প্রাণহানি ২৩ হাজার ছাড়িয়েছে

গত ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে যারা মারা গেছেণ, তাদের মধ্যে ১৫৪ জন পুরুষ ছিলেন আর ১১০ জন নারী। এর মধ্যে বাসায় ১০ জন, আর বাকি সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৪১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৫৪। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৪, ৯০৩ জন । বাংলাদেশে গত বছরের মার্চের ৮ তারিখে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছিলো স্বাস্থ্য বিভাগ। এরপরের দুই মাস দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা তিন অংকের মধ্যে থাকলেও সেটা বাড়তে বাড়তে জুলাই মাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। এরপর বেশ কিছুদিন দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা কমতে কমতে এক পর্যায়ে তিনশো'র ঘরে নেমে এসেছিল। তবে চলতি বছর মার্চের শুরু থেকেই শনাক্তে ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়। চিকিৎসক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, হাসপাতালগুলোর ওপর যে হারে চাপ বাড়ছে, তাতে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে ব্যাপক হারে। রাজধানী ঢাকায় অনেক কোভিড-১৯ রোগী হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরেও ভর্তি হতে পারছেন না -এমন অনেক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার কারণে হাসপাতালগুলো ইতোমধ্যেই পূর্ণ হয়ে গেছে। চিকিৎসক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, হাসপাতালগুলোর ওপর যে হারে চাপ বাড়ছে, তাতে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারায় গত ২৪ ঘন্টায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫৯ জনের। ঢাকায় একের পর এক সরকারি হাসপাতালে ঘুরেও একজন যুবক তার বাবাকে ভর্তি করাতে পারেননি। তাদের বাড়ি বগুড়ায়। সেখানে তিনদিন আগে তার বাবার করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয় এবং শ্বাস কষ্ট দেখা দেয়। তখন অক্সিজেন দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি তার বাবাকে ঢাকায় এনে একটি শয্যার জন্য হাসপাতাল হাসপাতালে ঘুরতে থাকেন। সরকারি হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে বেসরকারি হাসপাতালে তিনি তার বাবাকে ভর্তি করিয়েছেন। সেখানেও তার ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়েছে। নাম পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এই যুবক কোভিড-১৯ আক্রান্ত বাবাকে নিয়ে ঢাকায় হাসপাতালের ভর্তি করনোর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। "ঢাকাতে প্রায় আট দশটা হাসপাতালকে নক করেছি। সবাই বলতেছে, সিট ফাঁকা নেই। এর মধ্যে একটা প্রাইভেট হাসপাতালে সিট হবে বলে কনফার্ম করলো। কিন্তু যাওয়ার পরে ওরা বলতেছে, ওদের ওখানে ইয়োলো জোনে বা নির্ধারিত সাধারণ ওয়ার্ডে কোন সিট খালি নাই।" তিনি আরও বলেন, "আরেকটা প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করার পর সেখানে ভিন্ন অভিজ্ঞতা হলো। তারা রোগীর অবস্থা না জেনেই সিসিইউতে ভর্তি করলো। কিন্তু তার সিসিইউ-র দরকার ছিল না। তারা বললো, সাধারণ সিট নাই। সিসিইউতেই রোগী রাখতে হবে। তখন আমরা আরেকটা প্রাইভেট হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে ভর্তি করলাম" বলেন ঐ যুবক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই গৃহিনী জানিয়েছেন, তার স্বামীর মুমুর্ষ অবস্থায় আইসিইউতে নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু হাসপাতালটিতে আইসিইউর ১৬টি শয্যাতেই রোগী থাকার কারণে তাদের অন্য কোন হাসপাতালে রোগীকে নিতে বলা হয়েছে। তারা টাকার অভাবে বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছেন না। এদিকে, হাসপাতালগুলোর চিকিৎসকরাও রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। ঢাকার একটি হাসপাতাল কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের একজন চিকিৎসক নাদিরা হক বেসামাল পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন। "হঠাৎ করে রোগীর ফ্লোটা বেড়ে গেছে আমাদের হাসপাতালে। বর্তমানে আমাদের বেডই খালি নাই। আমাদের আইসিইউতে ১৬টি বেডেই রোগী আছে। অনেক কাজের চাপ। "প্রচুর রোগী আসছে এবং অনেক রোগী আমাদের বাইরে থেকেও টেলিফোন করছে আইসিইউ শয্যার জন্য, যাদের আমরা বেড দিতে পারছি না। আমাদের ওয়ার্ডেও বেশ কিছু ক্রিটিক্যাল রোগী আছে, যারা প্রতি মিনিটে ১৫ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন নিচ্ছেন। এদেরও অনেকের আইসিইউ সাপোর্ট দরকার। কিন্তু আমরা দিতে পারছি না" বলেন নাদিরা হক। ঢাকায় কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত সরকারি ১০টি হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা আছে ১০৪টি। এর মধ্যে মাত্র চারটি শয্যা খালি ছিল গত ২৪ ঘন্টায়। আর নির্ধারিত বেসরকারি ৯টি হাসপাতালে ৩৭৬টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে খালি ছিল ৪৭টি। বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ শয্যার জন্য বড় অংকের অর্থ গুণতে হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, ৩৩টি জেলায় সংক্রমণ দ্রুতহারে বাড়ছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের যে হার তার ৪০ শতাশেরও বেশি রোগী ঢাকাতেই। একটি বেসকারি হাসপাতালের কর্ণধার ড: লেলিন চৌধুরী বলেছেন, ঢাকার বাইরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো বাদ দিয়ে অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা এবং আইসিইউ ব্যবস্থাপনা উন্নত না হওয়ায় অনেক কোভিড১৯ রোগী চিকাৎসার জন্য ঢাকায় আসছে। পরিস্থিতি সামলাতে এখনই ব্যবস্থা না নেয়া হলে চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়তে পারে বলে তিনি আশংকা করেন। "হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ পূর্ণ সীমা অতিক্রম করার পর্যায়ে এসেছে। যদি এখনই বিষয়টাকে সামাল দেয়া না যায়, তাহলে চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়ার উপক্রম হবে।" তিনি মনে করেন, গত বছর করোনাভাইরাসের প্রথম ধাক্কার পর চিকিৎসা ব্যবস্থায় অবকাঠামোসহ বিভিন্ন সুবিধা কিছুটা বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরে যে পরিমাণে বাড়ানো দরকার ছিল-তা হয়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অতিরিক্ত ১০টি আইসিইউ শয্যার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেছেন, ঢাকা সরকারি হাসপাতালগুলোতে আড়াই হাজার সাধারণ শয্যা এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলো এক হাজারের বেশি শয্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা তারা নিয়েছেন। একইসাথে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে ভয়াবহতার ইঙ্গিতও এসেছে। "করোনা গত এক সপ্তাহ যাবৎ ব্যাপকহারে বাড়ছে এবং লাফায়ে লাফায়ে বেড়ে যাচ্ছে এবং মৃত্যুর হারও বেড়ে গেছে। প্রতিদিন যদি পাঁচ হাজার করে শনাক্ত হয়, আর তার একটা অংশ যদি হাসপাতালে আসে, তাহলে হাসপাতালে জায়গা করা সম্ভব হবে না। ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলো প্রায় ভরে গেছে।" মন্ত্রী বলেছেন, "আমাদের সবাইকে বুঝতে হবে, হাসপাতালের বেড বাড়িয়ে আমরা কিন্তু রোগী সংকুলান করতে পারবো না। উৎপত্তি স্থলগুলোকে যদি আমরা বন্ধ না করি লাভ হবে না। কারণ ঢাকাতে দেড় দুই কোটি মানুষ বাস করে। ফলে পুরো ঢাকা শহরকেই হাসপাতালে কনভার্ট করলেও কিন্তু রোগী সংকুলান হবে না।" হাসপাতালের ওপর চাপ কমাতে করোনাভাইরাসে প্রতিরোধের ব্যাপারে জোর দেয়ার কথা বলা হচ্ছে। সরকারও ১৮ দফা নির্দেশনাসহ বিভিন্ন উদ্যোগের কথা বলছে, কিন্তু তার বাস্তবায়ন নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সন্দেহ রয়েছে।