Head office: Lalchand Road B,K Tower chawkbazar , chhittagong. 01813558213, 01716981157 Branch office: Senbagh Sultan Flaza 2nd Floor(beside Agrani Bank) Senbag , Noakhali, 01572080515, 01822474980 Created By Abdul K@der
Tuesday, August 10, 2021
SARS COV-2
Severe acute respiratory syndrome coronavirus 2 বা কোভিড ১৯ (2019-nCoVn)
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
পর্ব : incertae sedis
বর্গ : Nidovirales
পরিবার : Coronaviridae
গণ : Betacoronavirus
প্রজাতি : Severe acute respiratory syndrome coronavirus
• রোগের নাম : কোভিড ১৯ (2019-nCoVn)
• ডাক নাম : Corona Pandemic
• রোগের লক্ষণ : রেসপিরেটরি লক্ষণ ছাড়াও জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষণ। এটি ফুসফুসে আক্রমণ করে। সাধারণত শুষ্ক কাশি ও জ্বরের মাধ্যমেই শুরু হয় উপসর্গ, পরে শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত রোগের উপসর্গগুলো প্রকাশ পেতে গড়ে পাঁচ দিন সময় নেয়।
• প্রাণীর শারীরে এর প্রভাব : মহামারী দ্বারা সৃষ্ট অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিপর্যয় ধ্বংসাত্মক: দশ লক্ষ লক্ষ লোক চরম দারিদ্র্যের মধ্যে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, যদিও বর্তমানে প্রায় 90৯০ মিলিয়ন অনুমানযুক্ত পুষ্টিহীন মানুষের সংখ্যা ১৩২ মিলিয়ন অবধি বৃদ্ধি পেতে পারে বছরের বেশিরভাগ।এই রোগের তীব্র পর্যায়ে থেকে পুনরুদ্ধার করুন। যাইহোক, কিছু লোক পুনরুদ্ধারের পরে কয়েক মাস ধরে প্রভাব ফেলতে থাকে - নামকরণ করা দীর্ঘ COVID — এবং অঙ্গগুলির ক্ষতি লক্ষ্য করা যায়। রোগের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবগুলি আরও তদন্ত করতে বহু-বছর অধ্যয়ন চলছে।
• রোগ থেকে বাঁচার উপায় : মাক্স পরিধান করা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার করা, অপ্রয়োজনের হাত দিয়ে মুখ, নাক স্পর্শ না করা, লোককে আলিঙ্গন করা থেকে বিরত থাকা, ব্যক্তিগত আইটেমগুলি ভাগ করবেন না, দলে দলে ভিড় না করা। ইত্যাদি।
• রোগের চিকিৎসা : বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা COVID-19 এর চিকিত্সা সন্ধান এবং বিকাশের জন্য কাজ করছেন। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য সর্বোত্তম সহায়ক যত্নের মধ্যে অক্সিজেন এবং যারা গুরুতর রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে এবং আরও উন্নত শ্বাসযন্ত্রের সমর্থন যেমন রোগীদের জন্য বায়ুচলাচল যেমন গুরুতর অসুস্থ ডেক্সামেথেসোন একটি কর্টিকোস্টেরয়েড যা ভেন্টিলেটরের সময়সীমা হ্রাস করতে এবং গুরুতর এবং গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করে। ডাব্লুএইচএইচওআইডি -19 এর প্রতিরোধ বা নিরাময়ের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সহ কোনও ওষুধের সাথে স্ব-ওষুধ দেওয়ার পরামর্শ দেয় না।
• কোভিড ১৯ সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত মতামত:
১.করোনা-২ জিনগত পুর্নরবিন্যাস করে তাই প্রতিরোধ করাই একমাত্র উপায়।
২. ভাইরাসটি মারাত্তক না হলেও সতর্কতা জরুরি।
৩. সকলকেই ভাইরাসটি প্রতরোধে এগিয়ে আসতে হবে।
৪. নিয়মিত মাক্স পরিধান করা জরুরি।
৫. সাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
সবার নজর এখন করোনাভাইরাসের মিউটেশনের দিকে - কোভিড-১৯য়ের নতুন নতুন ধরন যেমন দ্রুত ছড়ায়, তেমনি বেশি সংখ্যায় লোক এখন এগুলোতে সংক্রমিত হচ্ছে এবং ভ্যাকসিনকে ঠেকিয়ে দেয়ার ক্ষমতাও এসব ভ্যারিয়েন্টের বেশি।
কোভিডের মিউটেশন কেন ঘটে?
বেঁচে থাকা এবং বংশবৃদ্ধির জন্য সব ভাইরাসের দেহেই পরিবর্তন ঘটে।
বেশিরভাগ সময়েই এসব পরিবর্তন খুবই সূক্ষ্ম। কোন কোন সময়ে এতে ভাইরাসেরই ক্ষতি হয়। তবে অন্যগুলোতে যখন বড় ধরনের মিউটেশন ঘটে তখন রোগটা আরও বেশি সংক্রামক রূপ নেয় এবং রোগীর ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।।
সংক্রমণ কিংবা ভ্যাকসিনের মাধ্যমে যখন মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় ভাইরাস তখন মিউটেশনের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করে সেই প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে ফেলে।
বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে আমরা কী জানি?
সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসের হাজার হাজার ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে।
কিন্তু ইউকে, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিল ভ্যারিয়েন্টকে ''উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট'' বলে মনে করা হয়।
ইউকে বা কেন্ট ভ্যারিয়েন্ট (যার আরেক নাম B.1.1.7) প্রথম দেখা গেছে ব্রিটেনে। পরে ৫০টিরও বেশি দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। এবং এটি এখনও মিউটেট করছে।
ব্রাজিল ভ্যারিয়েন্ট (P.1) ছড়িয়ে পড়েছে ১০টিরও বেশি দেশে। এর মধ্যে ব্রিটেনও রয়েছে।
এছাড়াও ২৮শে এপ্রিল পর্যন্ত ব্রিটেনে ইন্ডিয়া ভ্যারিয়েন্ট (B.1.617 )-এর ২০০টি কেস ধরা পড়েছে।
তবে ভারতে কোভিড-১৯ মহামারির বর্তমান ঢেউয়ের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই বলেই বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।
নতুন ভ্যারিয়েন্ট কি বেশি বিপজ্জনক?
যারা এসব ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগের অসুস্থতার মাত্রা অনেক বেশি এমন কোন প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।
করোনার মূল রূপের ক্ষেত্রে যেমনটা দেখা গেছে, বয়স্ক এবং শারীরিক সমস্যা যাদের প্রকট এসব ভ্যারিয়েন্টেও তারাই বেশি ঝুঁকির মুখে।
কিন্তু ভ্যাকসিন নেয়া হয়নি এমন জনগোষ্ঠীর জন্য বেশি সংক্রামক কোন ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটবে বেশি।
কিছু গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, ইউকে ভ্যারিয়েন্টে ব্যক্তি-বিশেষের ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঝুঁকি ৩০% বেশি। তবে এর পক্ষে প্রমাণ খুব একটা জোরালো নয়।
কিন্তু করোনার সব ধরনের স্ট্রেইনের ক্ষেত্রেই ডাক্তারদের উপদেশ একই: ভাল করে হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ফেস মাস্ক ব্যবহার করা এবং ঘরের মধ্যে বায়ু চলাচল নিশ্চিত করা।
নতুন ভ্যারিয়েন্ট কিভাবে নিজেকে বদলে ফেলে?
নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কি কাজ করবে?
এখন যেসব ভ্যাকসিন চালু রয়েছে সেগুলো তৈরি করা হয়েছিল করোনার মূল ধরনটির চিকিৎসার জন্য। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও এগুলো কাজ করবে, তবে তার কার্যকারিতা হবে কম।
একটি গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, আগে যাদের কোভিড হয়েছে এবং কিছুটা ইমিউনিটি রয়েছে, ব্রাজিলিয়ান ভ্যারিয়েন্ট সম্ভবত তাদের দেহের অ্যান্টিবডিকে ঠেকিয়ে দিতে পারে।
ফাইজারের ভ্যাকসিনের ওপর গবেষণাগারের প্রাথমিক তথ্য এবং রোগীদের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, এটি নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কাজ করে, তবে কার্যকারিতা কম।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ডেটা থেকে জানা যাচ্ছে, এটি ইউকে/কেন্ট ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও একইভাবে কার্যকর। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে এটি কম সুরক্ষা দেয়।
কিছু প্রাথমিক ফলাফল থেকে জানা যাচ্ছে, মডার্না ভ্যাকসিন দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর। তবে এর ইমিউন রেসপন্স দুর্বল এবং স্বল্পস্থায়ী।
নতুন ভ্যারিয়েন্টের জন্য কি বুস্টার টিকা লাগবে?
ভবিষ্যতের করোনা ভ্যারিয়েন্টগুলোর জন্য টিকা তৈরি করতে ব্রিটিশ সরকার কিওরভ্যাক নামে একটি ওষুধ কোম্পানির সাথে চুক্তি করেছে। পাঁচ কোটি ডোজ টিকার আগাম অর্ডারও দেয়া হয়েছে।
ভবিষ্যতে ভ্যারিয়েন্টগুলোতে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটবে তার ওপর নির্ভর করবে বয়োবৃদ্ধ এবং প্রকট শারীরিক সমস্যার শিকার ব্যক্তিদের চলতি বছরের শেষ নাগাদ এধরনের বুস্টার টিকার প্রয়োজন হবে কিনা।
সবার নজর এখন করোনাভাইরাসের মিউটেশনের দিকে - কোভিড-১৯য়ের নতুন নতুন ধরন যেমন দ্রুত ছড়ায়, তেমনি বেশি সংখ্যায় লোক এখন এগুলোতে সংক্রমিত হচ্ছে, এবং ভ্যাকসিনকে ঠেকিয়ে দেয়ার ক্ষমতাও এসব ভ্যারিয়েন্টের বেশি।